শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১৬

হাড়সর্বস্ব ভালবাসা (রম্য কবিতা) আমার শরীরে ছিল মোট দুশো ছ’ খানা হাড়, পাঁজরের এক হাড়ে লেখা ছিল নামটি তোমার। আমার অর্ধাঙ্গী হবে ভেবেই বিধাতা অতি যত্ন সহকারে, একখানা হাড় জুড়ে দিলেন তোমার শরীরের অভ্যন্তরে। এক হাড় কেড়ে নিয়ে বিধাতা আমাকে দমাতে পারেনি এতোটুকু, আমার ভালবাসার তীব্রতা তোমাকেও ছাড়িয়ে গেছে বুঝি এইটুকু। সামান্য একটা হাড় খুইয়ে দমে কী কখনো প্রেমিকের মন, আর তার ভালবাসা(?) প্রকারান্তে অঢেল আছে যার, শুধু একজনের দখলে থাকবে তা- কী করে করো আশা? মন আর হাড়ের পার্থক্যের হিসেব না কষেই বিধাতা যেদিন সৃষ্টি করেছিলেন মানুষ, আদমের হাড়ে গড়া সেই হাওয়ার কথায় নিষিদ্ধ ফল সেবনে সেদিন হারিয়েছিল হুশ। কারো পাঁজরের হাড়, কখনোই নিশ্চিত করেনা সংসারের সুখ- হোক তার ঘরনী সে, ভালবাসা কারো হাড়ে নয়, থাকে মনে- যে থাকার চিরকালই থেকে যায় ভালবেসে। আমার প্রতিটি রক্তকণায় মিশে আছে অজস্র ভালবাসা, অস্থি-মজ্জাহীন সামান্য একটা হাড়ে নাহয় গড়েছে তোমায়- কি করে অস্বীকার করি(?) প্রতিনিয়ত জীবকোষ হয়ে বেড়ে ওঠা- আমার সেই ভালবাসা, শরীরের প্রতিটি শিরায় শিরায় রক্তের স্রোত হয়ে দাপিয়ে বেড়ায়। (ফকির ইলিয়াসের "পাঁজরপত্রেই লিখা হয়ে যায় সেইসব নাম" কবিতার সূত্র ধরে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন